কলাতে -প্রোটিন, কার্বন, চিনি, ফাইবার, ফ্যাট, পটাসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ‘সি’, বিভিন্ন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস পাওয়া যায়। তাই ত্বক, শরীর এবং চুলের পুষ্টি প্রদান করার জন্য কলার উপকারিতা অনেক। ভিটামিন ‘এ’ ত্বকের দাগ দূর করে। ত্বক রাখে নরম ও কোমল। ভিটামিন ‘বি’ ও পটাসিয়াম ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও কলা কম খরচে খুব সহজেই পাওয়া যায়। নিত্য সৌন্দর্যচর্চার মধ্যে কলার ব্যবহারও রয়েছে অনেক। এই ফলটির দ্বারা প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি আপনার ত্বকে আনতে পারেন মলিনতা ও উজ্জ্বল সুন্দর ত্বক। চলুন জেনে নেয়া যাক রূপচর্চায় কলার যত ব্যবহার;

ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা: কলা উচ্চ পটাশিয়াম যুক্ত ফল। যা ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। একটি কলার অর্ধেক অংশ চটকে তা মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়, এতে ত্বক নরম ও কোমনীয় হবে। অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকে কলার পাশাপাশি মধু ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

ত্বকের কালো দাগ দূর করতে: কলা, মধু ও লেবুর প্যাক – প্রণালী: একটি পাকা কলা, এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ লেবুর রস- সবগুলো উপাদান মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এরপর প্যাক-টি ভালো করে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর প্যাকটি শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক-টি ত্বকের কালো দাগ দূর করে দিতে সাহায্য করে।

ত্বকের ব্রণ দূর করতে: কলার খোসা প্রণালী: কলার খোসা ব্রণের জন্য দায়ী রোগ জীবাণু (ব্যাকটেরিয়া) ধ্বংস করে ও জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। শুধু ব্রণের ওপর কলার খোসার ভিতরের অংশটি ঘষুন। নিত্য সৌন্দর্য্য চর্চায় এটি সর্বোত্তম উপায়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে: কলা ও মধুর প্যাক – প্রণালী: এক চা চামচ কমলার রস, এক চা চামচ মধু ও অর্ধেকটা কলা ভালো করে চটকে মিশিয়ে নিন। এই প্যাক-টি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করুন। ১৫-২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাৎক্ষণিক ত্বকের পরিবর্তন দেখতে পাবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে দারুণ একটি প্যাক এটি।

চুলের যত্নে: চুল পড়া কমাতে কলা ও দই চটকে প্যাক তৈরি করতে হবে। প্যাকটি চুলে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। চুলের শুষ্কতা কমাতে কলা ও মধু মিশিয়ে চুলের প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।