মুখের ত্বকের যত্ন নিয়ে মানুষ যতটা সচেতন, অনেক সময় পায়ের যত্নের বিষয়ে ততটা দেখা যায় না। যদিও হাত বা পায়ের ত্বক শীতকালে অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যাঁদের বারবার হাত-পা ধুতে হয়, তাঁরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। মুখের বা হাতের ত্বকের যত্নে সবাই যতটা তৎপর, সেই তুলনায় পায়ের ত্বকের পরিচর্যায় সবাই কম সময়ই ব্যয় করেন। কেউ কেউ আবার একেবারেই পায়ের যত্ন নেন না। শীতে পায়ের চামড়া শুষ্ক-রুক্ষ হয়ে ফাটতে শুরু করে এবং সেখানে ধুলো-ময়লা জমতে শুরু করে। এতে অনেক সময় পা ফেটে পায়ের সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। তাই জেনে নেওয়া যাক, পায়ের যত্নে যা করণীয়;

এক্সফোলিয়েট: এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে পায়ের পাতা থেকে সহজেই মৃত ত্বক অপসারণ করা যায়। এই ফুট স্ক্রাব কিনতে পাওয়া যায় দোকানগুলোতে, আবার ফল, মধু, চিনি এবং গরম পানি মিশিয়ে বাড়িতেও তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, পা এক্সফোলিয়েট করার জন্য বিভিন্ন প্রোডাক্টও ব্যবহার করা যেতে পারে।

পা নিয়মিত ময়শ্চারাইজ করা: নিয়মিত পায়ের ময়শ্চারাইজিং করলে পায়ের পাতায় থাকা শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কমে এবং পায়ের পাতার নীচে নতুন করে শুষ্ক ত্বক হতেও বাধা দেয়। এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করার পরের ধাপই হচ্ছে পা ময়শ্চারাইজ করা।

উষ্ণ গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখা: হালকা গরম পানিতে কিছুক্ষণ পা ভিজিয়ে রাখলে শক্ত চামড়া ও ডেড স্কিন আলগা হয়ে যায়। এটি পায়ে রক্তসঞ্চালনকেও উন্নত করে এবং ত্বককে আবার শুষ্ক হওয়া থেকেও রক্ষা করতে পারে। পা ভেজানোর আগে অল্প পরিমাণ ভিনেগার গতম পানিতে যোগ করতে হবে। ভিনেগার পা জীবাণুমুক্ত করতে এবং পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে।

গ্লিসারিন ম্যাসাজ: অতিরিক্ত পা ফাটার সমস্যা সমাধান করতে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পানিতে গ্লিসারিন মিশিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে পা ফাটা বা চামড়া ওঠা রোধ করা যায়।

মোজা পরুন: শীতের সময়টাতে মোজা পরে থাকার চেষ্টা করুন। কোনো কারণে বাইরে গেলে মোজা পরতে ভুলবেন না। এতে পায়ের ত্বক রুক্ষ হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়াও সাধারণত শীতে আমরা পানি কম পান করি। তাই চেষ্টা করুন পরিমাণমতো পানি পানের। তাহলে ত্বকসহ পায়ের চামড়াও শুষ্ক হবে না।