ফেসবুক লাইভে এসে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করা শ্বশুর আবু মহসিন খানের জন্য দোয়া চাইলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সবার কাছে দোয়া চান। রিয়াজ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আপনারা আমার বাবার (শ্বশুর) জন্য দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ তাকে মাফ করে দেন। বেহেশত নসিব করেন। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে পারছি না।

মহসিনের একাকিত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে রিয়াজ বলেন, এসব বিষয়ে কথা বলার মত সময় এখন না। পরবর্তীতে এসব বিষয়ে কথা বলবো। ৫৮ বছর বয়সী আবু মহসিন খান পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর ভবনে নিজের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। আবু মহসিন এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। বড় ছেলে তার মাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। মহসিন খান ২০১৭ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে পরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।

খোঁজ করে যা জানা যায়, স্ত্রী-পুত্রদের নিয়ে বিদেশেই থাকতেন মহসিন খান। করোনা শুরুর পর বছর দেড়েক আগে চলে আসেন ঢাকায়। আবু মহসিন খানের মেয়ে তিনা চলচ্চিত্র অভিনেতা রিয়াজের স্ত্রী; তারা রাজধানীর বনানীতে থাকেন। তিনি মেয়ে, মেয়ের ঘরে নাতনি ও জামাতার সঙ্গে প্রায়ই সময় কাটাতেন। কিন্তু মেয়ের বাড়িতে থাকতে চাইতেন না। নিজের ফ্ল্যাটেই একা বসবাস করতেন। আবু মহসিন খান গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধানমণ্ডির নিজ বাসায় বসে তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন।

আত্মহত্যার আগে ব্যক্তিজীবনের নানা হতাশার কথা তুলে ধরেন তিনি। এরপর ফেসবুক লাইভে লাইসেন্স করা পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি। আবু মহসিন খান গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধানমণ্ডির নিজ বাসায় বসে তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন। আত্মহত্যার আগে ব্যক্তিজীবনের নানা হতাশার কথা তুলে ধরেন তিনি। এরপর ফেসবুক লাইভে লাইসেন্স করা পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি।

এদিকে ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, উনার (মহসিন) যারা ফলোয়ার ছিলেন, তারা ঘটনাটি দেখে ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে পুলিশ ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলা থেকে মহসিনের মরদেহ উদ্ধার করে। পঞ্চম তলার ওই ফ্ল্যাটে কেউ ছিলেন না। তার স্ত্রী ও সন্তান অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। ৫৮ বছর বয়সী আবু মহসিন খান পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর ভবনে নিজের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন।

আবু মহসিন এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। বড় ছেলে তার মাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। আত্মহত্যার আগে একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন আবু মহসিন খান। পুলিশ বলেছে, সেখানে তিনি লিখেছেন ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’