বিনোদন, সেলিব্রিটি বার্তা

সালমান শাহকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা শাবনূরের

৯০ দশকের শ্রেষ্ঠ নায়ক ছিলেন সালমান শাহ। ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সালমান। সুদর্শন ফ্যাশনেবল আধুনিক মানসিকতার এক মহানায়কের আগমন ঘটে সেদিন । তবে হাজারো মানুষের ‘স্বপ্নের নায়ক’ সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অসংখ্য ভক্তদের কাঁদিয়ে বিদায় নেন। বেঁচে থাকলে আজ ৫০ বছরে পা রাখতেন তিনি। তার জন্মবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান নানা ভক্ত।

Tarokaloy_salman_shah

বাদ পড়েনি সহশিল্পীরাও। সেই সহশিল্পীর মধ্যে একজন শাবনূর। ৯০ দশকে বাংলা রোমান্টিক ছবি মানেই যেন সালমান শাহ-শাবনূর। এমনকি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা জুটি সালমান শাহ-শাবনূর। প্রয়াত এই নায়কের অভিনীত সর্বাধিক সিনেমার নায়িকা ছিলেন শাবনূর এবং সেসব ছবিই ছিল সুপারহিট। তাদের পর্দার রসায়ন ছিল নজরকাড়া। বাস্তব জীবনের সেই রসায়ন নিয়েও তুমুল আলোচনা হতো।

Tarokaloy_salman_shah_and_shabnur

সেজন্য সালমান শাহকে ঘিরে শাবনূরের আবেগ, স্মৃতি একটু বেশি। আর তাই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন ঢাকার চলচ্চিত্রের একসময়ের দাপুটে এই অভিনেত্রী। শাবনূর বলেছেন, ‘সালমান শাহ, এমন একটি নাম যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে সোনালি সময়। অতি অল্প সময়ে অগণিত ভক্তের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। প্রতি বছর এদিন কোটি ভক্তের হৃদয় আলোড়িত করে সালমান শাহ ফিরে আসেন ক্ষণিকের জন্য।

Tarokaloy_salman_shah_and_shabnur

অকাতর ভালোবাসা অঞ্জলি নিয়ে ফিরে যান অযুত নক্ষত্র ভিড়ে। ভালো থেকো সালমান শাহ, প্রতিদিন; যেখানেই আছো।’ সালমান-শাবনূর জুটির আলোচিত সিনেমাগুলো হলো- ‘সুজন সখি’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘মহামিলন’, ‘বিচার হবে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘জীবন সংসার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘প্রেম পিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘তুমি আমার’, ‘বুকের ভেতর আগুন’ ও ‘আনন্দ অশ্রু’।

Tarokaloy_salman_shah_and_shabnur

প্রসঙ্গত ১৯৯২ সালের ১২ আগস্ট তার খালার বান্ধবীর মেয়ে সামিরা হককে বিয়ে করেন সালমান শাহ। সামিরা ছিলেন বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী। তিনি সালমানের দু’টি চলচ্চিত্রে তার পোশাক পরিকল্পনাকারী হিসেবেও কাজ করেন। দাম্পত্য জীবনের পাঁচ বছরের মাথায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর হঠাৎই সালমানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে।

Tarokaloy_salman_shah_and_samira_shabnur

এদিন ঢাকার ইস্কাটনে নিজ বাসার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হলেও তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়ে গেছে। অন্যদিকে শাবনূর নিজ পরিবার এবং ছেলে আইজানকে নিয়ে থাকেন অস্ট্রেলিয়া। বর্তমানে সেখানকার প্রবাসী তিনি।

Previous ArticleNext Article